সাধারণ একজন মানুষের নিত্যদিনের কাজ গুলি, একজন ভ্রমণপিপাসুর ভ্রমণ কাহিনী, বা একজন সাংবাদিকের দৈনন্দিন বার্তা সমূহ, বা একজন ছাত্র ছাত্রীর দৈনন্দিন পড়াশুনার নোট সমূহ লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য আমরা সকলেই ডায়েরির মত কিছু না কিছু ব্যবহার করে থাকি। এই কাজ টিকে আরও সহজ করে দিয়েছে আমাদের হাতে থাকা ফোনের মাঝে থাকা বিভিন্ন ডায়েরি অ্যাপ্লিকেশনগুলি। চাইলেই দৈনন্দিন জীবনের খুদেবার্তা থেকে শুরু করে বড় ধরনের যেকোনো বার্তা খুব সহজেই এইসব অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ডায়েরি আকারে লিখে রাখা যায়। এমনকি তা দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা আছে এই সকল এ্যাপলিকেশন গুলিতে। তেমনি একটি অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। গুগল প্লে স্টোরে থাকা হাজারো ডায়েরি অ্যাপ্লিকেশন গুলির মধ্যে আপনার দৈনন্দিন কাজের বার্তাগুলি লিপিবদ্ধ করার জন্য কেন এই অ্যাপ্লিকেশনটি বেছে নিবেন তাই আজকে আপনাদের জানাবো।
অ্যাপ্লিকেশনটির নাম: ( App name)
Journey: diary, journal আমার ব্যবহার করা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা ডায়েরির অ্যাপস এটি। সবচেয়ে সেরা কেন বলছি তার কারণ এটি গুগোল এডিটর চয়েজ থেকে রিকমেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনটির ফিচারস গুলো ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন কেন এই অ্যাপ্লিকেশনটি সেরা। 4.5 রেটিংস নিয়ে এক মিলিয়নের বেশি ইন্সটল হয়েছে এই অ্যাপসটি। তো চলুন অ্যাপসটির ফিচারস গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করে।
অ্যাপসটিতে যেসকল ফিচারস রয়েছে: ( Features of the Journey: dairy journal)
গুগোল প্লায় স্টরে অ্যাপস টি সম্পূর্ণ ফ্রিতে পেয়ে যাবেন তবে এর কিছু এক্সট্রা ফিচার রয়েছে যেগুলো প্রিমিয়াম। তাই আমরা ফ্রী ভার্শন এ কি কি রয়েছে সেগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা করব।
অ্যাপ্লিকেশন টিতে প্রবেশ করলেই প্রথমেই যে পেজটি আসবে সেখান থেকেই আপনি চাইলে লেখালেখি করতে পারেন। একেবারে নিচে কতগুলো অপশন রয়েছে যেমন:
ক্যালেন্ডার: ধরুন আপনি আজকে একটি লেখা লিখলেন। আপনি চাইলে ক্যালেন্ডার অপশনটি ব্যবহার করে উক্ত লেখাটির সময় এবং তারিখ আপনার ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন।
মিডিয়া: ক্যালেন্ডারের পাশে যে অপশন টা রয়েছে সেটি হচ্ছে মিডিয়া আপনি আপনার ডাইরিতে যতগুলো ছবি বা ভিডিও অথবা ফাইল ব্যবহার করবেন সেগুলো এই মেডিয়া অপশনে দেখাবে।
এটলাস: (Atlas)
আপনি যে জায়গায় থেকে লেখা টি লিখছেন বা যে জায়গা সম্পর্কে লিখছেন আপনি চাইলে ওই স্থানের লোকেশন লেখাটিতে সেট করে দিতে পারবেন।
টুডে: ( Today)
এই অপশনটিতে গেলে আপনি কিছু এক্সট্রা ফিচারস পাবেন। যেমন স্ট্যাটিসটিকস এটিতে আপনি দেখতে পাবেন প্রতিদিন আপনি কি পরিমাণ ডায়েরি লিখছেন তার একটি হিসাব এইখানে দেখাবে।
মোড চার্ট: ( Mode chart)
ধরুন আপনি একমাস যাবত ডাইরি লিখছি এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে। এবং প্রতিটি ডায়েরিতে আপনার দিনটি কেমন গিয়েছিল সেটি ইমুজির মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন সেটির হিসাবই মোড চার্ট দেখাবে।
এছাড়াও আপনার অতীতে লেখা ডায়েরি গুলো নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনাকে দেখানোর কিছু এক্সট্রা ফিচারস রয়েছে।
এবার আসি সেটিংস অপশনে। এখান থেকে আপনি অ্যাপ্লিকেশন টি তে কি কি পরিবর্তন করতে পারবেন তা নিয়েই এখন বলছি।
থিম: ( Theme)
আপনি চাইলেই অ্যাপ্লিকেশনটির থিম পরিবর্তন করতে পারেন। তবে ফ্রী ভার্শন যারা ব্যাবহার করবেন তারা মাত্র দুটি ফ্রী থীম পাবেন। আর যারা প্রেমিয়াম ভার্শন ব্যবহার করবেন তারা অতিরিক্ত আরো 12 টি থিম ব্যাবহার করতে পারবেন।
ওয়ালপেপার: ( Wallpaper)
পছন্দমত একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার অ্যাপ্লিকেশনটিতে ব্যবহার করতে কে না চাইবে। সেজন্যই আপনি ফ্রি ভার্সন এর সাথে পেয়ে যাচ্ছেন তিনটি ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার যেগুলো দেখতে অনেকটাই সুন্দর। প্রেমিয়াম ভার্শন ব্যবহার করলে কাস্টম ওয়ালপেপার সেট করার সুবিধা সহ আরও ছয়টি ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার পেয়ে যাচ্ছেন।
নাইট মোড: এটি শুধুমাত্র প্রিমিয়াম ভার্শন ব্যবহারকারীদের জন্য। এর মাধ্যমে আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি ডার্ক মোড করতে পারবেন।
ফন্ট ফ্যামিলি: ( Font family)
এই অপশনটিতে 6t আলাদা আলাদা একটি স্টাইলিশ ফন্ট দেওয়া আছে। আপনার একটি স্টাইল ভালো না লাগলে আরেকটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ফ্রি ভার্সন এর জন্যও উন্মুক্ত।
ফন্ট সাইজ এবং লাইন স্পেসিফিক: ( Font size and line specific)
এ দুটি অপশন এর সাহায্যে আপনি চাইলে আপনার লেখা ছোট বড় করতে পারবেন এবং লাইন এর দৈর্ঘ্য ও আকার ছোট বড় করতে পারবেন।
সিকিউরিটি: ( Security)
চাইলে আপনি অ্যাপ্লিকেশনটিতে পাসওয়ার্ড সংযুক্ত করতে পারেন। এতে কেউ চাইলেও আপনার ডাইরিতে প্রবেশ করতে পারবে না। আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে একটি অ্যাকাউন্ট করে রাখেন তাহলে আপনার যাবতীয় ডাটাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ থাকবে অর্থাৎ আপনি যদি ডিভাইস পরিবর্তন করেন তাহলে অন্য ডিভাইসে আপনার এই একাউন্টিতে লগইন করলে আপনার অতীতের সমস্ত ডাটা গুলো পেয়ে যাবেন। ফলে আপনার সংরক্ষিত তথ্য গুলো হারানোর ভয় থাকবে না।
0 Comments